বিয়ে কি জীবনেরএকটি অবিচ্ছেদ্য অংশ?2025

0
313
kaBINBD
KABINBD

বিয়ে কি জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ? 2o25

ভূমিকা
শাদী হল মানুষের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়, যা শুধুমাত্র দুটি ব্যক্তিকে নয়, বরং তাদের পরিবার ও সমাজকে একত্রিত করে। বহু প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন সংস্কৃতি, ধর্ম ও সমাজের রীতি-নীতিতে  শাদী গুরুত্বপূর্ণ এক সামাজিক বন্ধন হিসেবে দেখা হয়েছে। এই বন্ধনের মাধ্যমে একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধতা, সহানুভূতি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মানসিকতা তৈরি হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বিয়ে কি সত্যিই জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ? না কি এটি একটি ঐতিহ্যগত নিয়ম যা মানুষ যুগে যুগে অনুসরণ করে আসছে? এই রচনায় আমরা বিয়ের গুরুত্ব, প্রভাব এবং জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করব।

 

বিয়ে করবেন, জেনে নিন আইন-কানুন
বিয়ে করবেন, জেনে নিন আইন-কানুন

 

 

সামাজিক ও মানসিক স্থিতিশীলতা

মানুষ সামাজিক জীব। একা থেকে সে পরিপূর্ণ সুখ এবং মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে পারে না। একসঙ্গে থাকার মধ্য দিয়ে মানুষ পারস্পরিক সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেয়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক। পারিবারিক কাঠামো মানসিক স্থিতিশীলতা প্রদান করে, যা অনেক সময় একজন মানুষ একা থাকতে পারলে পায় না। বিয়ে জীবনের এই স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি আনতে সাহায্য করে। তাই অনেকেই বিয়েকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করে।

প্রজন্ম সৃষ্টি ও পারিবারিক বন্ধন

শাদী কেবল দুটি মানুষের মধ্যে নয়, বরং দুটি পরিবারের মধ্যে একটি সামাজিক বন্ধনও তৈরি করে। প্রজন্ম সৃষ্টি এবং সন্তান পালন বিয়ের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ও নৈতিক মূল্যবোধে পরিপূর্ণ পরিবেশে হতে পারে। পরিবার সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ একক, যেখানে নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক মূল্যবোধ, এবং পারস্পরিক দায়িত্ববোধের প্রতি শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে সমাজের মঙ্গল ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হয়। তাই বিয়েকে জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।

বিয়ে ছাড়া জীবন – সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ

যদিও শাদী জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখা হয়, কিছু মানুষ বিয়ে ছাড়া জীবন বেছে নেয়। অনেকে একা জীবনকে আরও স্বাধীন ও দায়িত্বমুক্ত মনে করেন। তারা জীবনে নিজেদের জন্য আরও বেশি সময় এবং স্বাধীনতা খুঁজে পান। তবে, একক জীবনে সঙ্গীর অভাব এবং মানসিক স্থিতির অভাবে জীবনে অনেক সময় একাকীত্ব, হতাশা, এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। যদিও আত্মনির্ভরতা ও ব্যক্তিগত স্বাধিকারকে প্রাধান্য দেওয়া আজকাল একটি প্রবণতা, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এই পন্থা বেছে নেয় না কারণ তারা একজন সঙ্গীর পাশে থাকার মানসিক প্রশান্তি খুঁজে পান।

ধর্মীয় ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে  শাদী প্রয়োজনীয়তা

বিভিন্ন ধর্মে  শাদীএকটি পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত হয়। ইসলামে বিয়েকে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) সুন্নত হিসেবে গণ্য করেছেন এবং এ বিষয়ে উৎসাহিত করেছেন। একইভাবে, হিন্দু ধর্মেও বিয়েকে ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ধর্মীয়ভাবে বিয়ে কেবল একটি সামাজিক বন্ধনই নয়, বরং এর সাথে অনেক নৈতিক মূল্যবোধের সংযোগ রয়েছে। এই মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করেই সমাজ গঠন হয়। তাই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও বিয়েকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

শাদী, যা বিবাহ নাম পরিচিত, কেবল একটি সামাজিক চুক্তি নয়, বরং ধর্মীয় ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর গভীর তাৎপর্য রয়েছে। মানবজাতির অস্তিত্ব, পারিবারিক স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক শৃঙ্খলার জন্য শাদী অপরিহার্য। এটি মানুষকে শারীরিক, মানসিক এবং আত্মিক প্রশান্তি দেয় এবং নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার ভিত্তি স্থাপন করে।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ

ইসলাম ধর্মে শাদীকে অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যখন কোনো বান্দা বিবাহ করে, তখন সে তার অর্ধেকের দ্বীন পূর্ণ করে।” (মিশকাত)। এটি নির্দেশ করে যে শাদী একজন মুসলিমের ঈমানের পূর্ণতার জন্য কতটা জরুরি। কোরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “এবং তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি লাভ করো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা রুম, ২১)। এই আয়াতটি বিবাহের মূল উদ্দেশ্য, অর্থাৎ শান্তি, ভালোবাসা এবং দয়া অর্জনের কথা বলে।

শাদী কেবল ব্যক্তি নয়, বরং সমাজের জন্যও অপরিহার্য। এটি অবৈধ সম্পর্ক প্রতিরোধ করে এবং পারিবারিক পবিত্রতা বজায় রাখে। ইসলামে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। শাদী হালাল উপায়ে জৈবিক চাহিদা পূরণের পথ খুলে দেয় এবং মানুষকে গুনাহ থেকে রক্ষা করে। এটি বংশ পরম্পরা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা মানব সভ্যতার ধারাবাহিকতার জন্য অপরিহার্য। ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী, শাদী সন্তান লালন-পালনের জন্য একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে সন্তানরা নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে।

নৈতিক দৃষ্টিকোণ

নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে শাদী মানুষের মধ্যে দায়িত্ববোধপ্রতিশ্রুতিবদ্ধতা তৈরি করে। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি যতœশীল হয় এবং সুখে-দুঃখে পাশে থাকার অঙ্গীকার করে। এই বন্ধন মানুষকে স্বার্থপরতা থেকে বের করে এনে অপরের জন্য চিন্তা করতে শেখায়। শাদী একটি পরিবার গঠন করে, যা সমাজের মৌলিক ভিত্তি। একটি সুস্থ পরিবারই একটি সুস্থ সমাজের জন্ম দেয়।

শাদী শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি একাকীত্ব দূর করে এবং মানসিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রদান করে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমর্থন জীবনের কঠিন সময়ে একে অপরকে শক্তি যোগায়। এটি যৌন স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশে জৈবিক চাহিদা পূরণের সুযোগ দেয়। নৈতিকভাবে, শাদী নারী ও পুরুষের মধ্যে সমানাধিকার ও সম্মান নিশ্চিত করে। এটি নারীকে সমাজে একটি সুরক্ষিত স্থান দেয় এবং পুরুষকে তার প্রতি দায়িত্বশীল হতে শেখায়।

এছাড়াও, শাদী সামাজিক মূল্যবোধ যেমন – ধৈর্য, সহনশীলতা, ক্ষমা এবং ত্যাগের অনুশীলনকে উৎসাহিত করে। পারিবারিক জীবনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে গিয়ে এই মূল্যবোধগুলো আরও দৃঢ় হয়। এর মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন আরও শক্তিশালী হয় এবং মানুষ একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়।

পরিশেষে বলা যায়, শাদী ধর্মীয় ও নৈতিক উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে মানব জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুধু ব্যক্তি নয়, বরং সমাজ ও মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য। শাদীর মাধ্যমেই শান্তি, সমৃদ্ধি এবং শৃঙ্খলা বজায় থাকে, যা একটি উন্নত ও মানবিক সমাজ গঠনে সহায়ক।

 শাদী ও আধুনিক যুগে এর পরিবর্তন
যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিয়ের ধারণায়ও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। আধুনিক যুগে অনেকেই শাদী জীবনের লক্ষ্য হিসেবে দেখে না, বরং নিজের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং ক্যারিয়ারকে গুরুত্ব দেয়। নারী-পুরুষ উভয়েই কর্মজীবন এবং আত্মনির্ভরশীলতাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে, যা অনেক সময়  শাদী প্রয়োজনীয়তাকে প্রভাবিত করছে। তবুও, অধিকাংশ মানুষ এখনও বিয়েকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখে।
উপসংহার
শাদী জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এবং এর অনেক দিক রয়েছে যা জীবনে স্থিতিশীলতা, মানসিক প্রশান্তি এবং সামাজিক মর্যাদা প্রদান করে। যদিও আধুনিক যুগে এর গুরুত্ব নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে, তবুও শাদী এখনো বেশিরভাগ মানুষের কাছে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গ্রহণ না করলেও, বিয়ের মাধ্যমে জীবনকে পরিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ করা সম্ভব।

 

 শাদী না করে জীবন অতিবাহিত করার সুবিধা ও অসুবিধাগুলি কী কী বা কেমন?

 

শাদী না করে জীবন অতিবাহিত করা নিয়ে আলোচনা করলে, এটি একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং অনেক কারণে মানুষ বিয়ে না করার পথ বেছে নিতে পারে। কোনো ব্যক্তি জীবনসঙ্গী ছাড়া একাই জীবনযাপন করলে কিছু সুবিধা এবং কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন। নিচে সেই সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।

সুবিধা

১. স্বাধীনতা শাদী না করলে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বাধীনতা থাকে। নিজের পছন্দমতো জীবনযাপন, পেশা নির্বাচন, ভ্রমণ করা ইত্যাদিতে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকে না। অন্য কারো মতামত বা সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর না করে জীবনযাপন করতে পারা স্বাধীনতার অন্যতম প্রভাব।

২. আর্থিক স্বাধীনতা: শাদী করলে দুইজনের জীবনের জন্য আর্থিক দায়িত্বের প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে পরিবার ও সন্তান থাকলে খরচ আরো বেড়ে যায়। বিয়ে না করলে নিজের উপার্জনের ওপর নিজে খরচ করা যায় এবং সঞ্চয় বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে পরিকল্পনা করা সম্ভব হয়।

৩. ব্যক্তিগত উন্নতি ও স্বপ্ন পূরণ: যারা বিয়ে না করে থাকেন, তারা নিজেদের উন্নতি এবং স্বপ্ন পূরণের জন্য পূর্ণ সময় এবং মনোযোগ দিতে পারেন। পেশাগতভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, নতুন দক্ষতা অর্জন, নিজের পছন্দের কাজ করা ইত্যাদি সহজে করা যায়।

৪. মানসিক চাপ কম: শাদী জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, তবে এর সাথে মানসিক চ্যালেঞ্জও যুক্ত থাকে। সম্পর্ক পরিচালনা করা, মতভেদ মেটানো, একে অপরের প্রতি দায়িত্ব পালন করা – এগুলো মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিয়ে না করলে এ ধরনের চাপ কম থাকে।

৫. আত্মপরিচয় ও নিজস্বতা বজায় রাখা:  শাদী করলে অনেক সময় আত্মপরিচয়ে পরিবর্তন আসে। সমাজ, পরিবার এবং সম্পর্কের ভিত্তিতে একজনের পরিচয়কে দেখা হয়। তবে যারা একা থাকেন, তারা নিজস্বতাকে ধরে রাখতে পারেন এবং নিজের স্বতন্ত্রতা রক্ষা করতে পারেন।

৬. সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখা: অনেকেই  শাদী পর নিজস্ব বন্ধুদের বা পরিবারকে সময় দিতে পারেন না। তবে অবিবাহিত ব্যক্তিরা বেশি সামাজিক হতে পারেন এবং বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সাথে সময় কাটাতে পারেন।

অসুবিধা

১. অন্তরঙ্গতা ও সঙ্গীর অভাববিবাহ মানে শুধু সামাজিক বন্ধন নয়, এটি একটি মানসিক ও শারীরিক সঙ্গের প্রতীক। অবিবাহিত ব্যক্তিরা অনেক সময় একাকিত্ব অনুভব করতে পারেন এবং গভীর সম্পর্কের অভাব তাদের জীবনে একঘেয়েমি আনতে পারে।

২. সামাজিক চাপ: সমাজে বিবাহ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেক সময় অবিবাহিত ব্যক্তিরা পরিবার ও সমাজ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হন এবং তাদের সিদ্ধান্তকে অস্বাভাবিক বলে মনে করা হয়।

৩. দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নিরাপত্তার অভাব: বিবাহিত দম্পতিরা সাধারণত ভবিষ্যতের জন্য একসাথে সঞ্চয় করেন এবং একে অপরের দেখাশোনায় থাকেন। অবিবাহিত ব্যক্তিদের এ ধরনের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা কম থাকতে পারে এবং অনেক সময় একা বৃদ্ধ বয়সে নিজের দায়িত্ব নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

৪. সন্তান না থাকায় পারিবারিক উত্তরাধিকার সংকট: যারা বিবাহ না করেন, তাদের ক্ষেত্রে সন্তান থাকার সম্ভাবনা কম থাকে। ফলে পারিবারিক উত্তরাধিকার রক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সম্পদ বা জ্ঞান হস্তান্তরের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়।

৫. সেবা ও সাহায্যের অভাব: বার্ধক্যে পৌঁছানোর পর সহায়তা ও সেবার প্রয়োজন পড়ে। বিবাহ করা ব্যক্তিরা সাধারণত এসময় জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। তবে অবিবাহিতদের জন্য এমন সময়ে একাকিত্ব বাড়তে পারে এবং বিভিন্ন দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হতে পারে।

৬. আর্থিক পরিকল্পনার সীমাবদ্ধতা: বিয়ে না করলে একা থাকার খরচ ও ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করতে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়। অনেক সময় অসুস্থতা, জরুরি পরিস্থিতি ইত্যাদিতে একা থাকা আর্থিকভাবে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

উপসংহার

বিবাহ না করে জীবনযাপন করার সুবিধা ও অসুবিধা নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষের জীবনধারা, মানসিকতা এবং জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গির ওপর। কেউ যদি স্বাধীন জীবনযাপন এবং নিজের ইচ্ছানুসারে জীবন পরিচালনা করতে চান, তবে বিবাহ না করাই তার জন্য সুবিধাজনক হতে পারে। আবার কেউ কেউ অনুভব করেন যে একটি সঙ্গীর সাথে জীবনযাপন করা জীবনের অর্থপূর্ণ দিক তৈরি করে, এবং সামাজিক এবং মানসিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হতে সহায়ক।

মানুষের নিজস্ব পছন্দ এবং সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে,বিবাহ করা বা না করা — উভয় পথেই সুখী এবং সন্তুষ্ট জীবন যাপন করা সম্ভব।

best matirmony site

bride

canada marriage media

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here